
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ওই বিমান ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়। একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ খবর দিয়েছে সিবিএস। অপরদিকে মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক পেন্টাগন, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র ও ইরাকি গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে একই খবর দিয়েছে।
আর-পড়ুনঃ JNU হামলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেন আগে জানিয়েছিল যে, বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে ইরান তখন এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে।
ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই ওই যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইট দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও পরে একটি বিস্ফোরণ শনাক্ত করতে পেরেছিল।
আর-পড়ুনঃ মুখের ঘা-কে অবহেলা নয়, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা-এর মাধ্যমে
অপরদিকে নিউজউইককে তিন ভিন্ন ভিন্ন কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের ধারণা রাশিয়ার তৈরি টর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় ওই বিমান। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। কেউ হয়তো ভুলও করে থাকতে পারে।
৩রা জানুয়ারি ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠে। এরপর ওই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরান বিমানের ব্ল্যাকবক্স বিমান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়। বৈশ্বিক বিমান আইন অনুযায়ী, এই তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার ইরানের। তবে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও সাধারণত তদন্তে সম্পৃক্ত থাকে।