নিরাপত্তা ইস্যুতে ভেস্তে যেতে বসেছিল বাংলাদেশের নির্ধারিত পাকিস্তান সফর। আইসিসিতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর দোলাচল কেটে গেছে। পিসিবি সফর ঘিরে রাখছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বুধবার রাতে রওনা হবে টাইগার দল। যাওয়ার আগেরদিন টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেছেন, এখন আর নিরাপত্তা নয়, ক্রিকেটারদের ভাবনায় শুধুই ক্রিকেট।
সিরিজের সময় ক্রিকেট ছাড়া অন্যকিছু ভাবনায় থাকা উচিতও নয়! নিরাপত্তার বিষয়টি অন্যতম আলোচিত হয়ে থাকলে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে মন দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আবার দেশটা যখন পাকিস্তান, একযুগ পর যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর জোর চেষ্টা চলছে, সাম্প্রতিক সময়ে সফর করেছে কয়েকটি দল, সেখানে ঘুরেফিরে নিরাপত্তার বিষয়টি আসবেই।
সফরের সিদ্ধান্ত যখন নেয়া হয়েই গেছে, মাহমুদউল্লাহ তখন বাকিসব ছেড়ে ক্রিকেটে মনোযোগ রাখার আবহ ছড়িয়ে দিলেন দলেন মাঝে। কেননা দিনশেষে পারফরম্যান্সটা থাকবে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
‘এই মুহূর্তে একটা কথা বলতে পারি, দলের অন্যান্য সদস্যরা এই ব্যাপারে চিন্তিত নয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। আমরা শুধু খেলার কথাই চিন্তা করছি। কীভাবে ওখানে গিয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারব এবং জিততে পারব- এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।’
বুধবার রাত ৮টায় ভাড়া করা বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তিন টি-টুয়েন্টির সিরিজ খেলতে পাকিস্তান রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। পৌঁছে একদিনের প্রস্তুতি পর্ব সেরে নেমে পড়তে হবে খেলায়। নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দেয়ার পরিকল্পনা সাজানোর সময়ও সামান্যই টাইগারদের।
আরও পড়ুন: ধোনির পরিবর্ত পেয়ে গিয়েছে ভারত! কে, জানিয়ে দিলেন শোয়েব আখতার
‘চিন্তা করতে হবে, আমরা পারফরম্যান্স যেন যথাযথ করতে পারি ওখানে। এগুলো (নিরাপত্তা) নিয়ে আমরা চিন্তিত না, মনে হয় দলের কেউই এগুলো নিয়ে চিন্তিত না। ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে, এটিতেই সবার মনোযোগ।’
টাইগার দল পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সফরটি করবে তিন দফায়। শুরুতে তিন টি-টুয়েন্টি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে একটি টেস্ট ও এপ্রিলে আরেকটি টেস্ট আর একটি ওয়ানডে খেলতে দেশটিতে যাবে তারা। টি-টুয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচই লাহোরে- ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি।
সিরিজ ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখছে পাকিস্তান। নিরাপত্তা বিষয়ক সরকারি কমিটি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের বৈঠকের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে, সিরিজ নির্বিঘ্নে করতে ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য থাকবে অন্যান্য বিশেষ নিরাপত্তা টিমের সাথে।
খেলোয়াড়দের হোটেল, মাঠ, অনুশীলন, চলাচলের রাস্তা থাকবে কড়াকড়ির আওতায়। নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা হবে পুরোটা সময়। পুলিশের পাশাপাশি সেনা কমান্ডো, রেঞ্জার্স টিমের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন: সাত দিনে এই কাজ করতে হবে, কাম্বলিকে চ্যালেঞ্জ মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের
লাহোরে ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্যের সঙ্গী হবে যেকোনো জরুরী অবস্থায় সাড়া দেয়ার জন্য ১৯ জনের বিশেষ ফোর্স টিম, সেনা কমান্ডো এবং রেঞ্জার্স টিমের সদস্যরা। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের নিরাপত্তায় থাকবে ৪ হাজারের বেশি পুলিশ, সেনা ব্যাটালিয়ন ও রেঞ্জার্স উইং। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় থাকবে ক্রিকেটারদের বিচরণের পুরোটা ক্ষেত্র।