বাঙালি মানেই ভাত। আর ভাত মানে সাদা ধবধবে পালিশ করা চাল। চাল যত চকচকে, গুণ তত কম। সমাধান ঢেঁকিছাঁটা চালেই। ডায়াবেটিসেও বিন্দাস খান।
ওবেসিটির রক্তচক্ষুর কারণে বদলে যাচ্ছে খাবারের পাত। ওজন কমানোর চিন্তায় আমরা বেছে নিচ্ছি নানা বিকল্প। লো ফ্যাট নো কার্বস ডায়েট। শুধু কি ওবেসিটি? একটু বয়স বাড়লেই ক্যালসিয়ামের অভাব, হাড়ক্ষয়, গাঁটে গাঁটে ব্যথা। বাতের ব্যথায় কাবু।
কিন্তু মাছে-ভাতে বাঙালি ভাত ছাড়া থাকবে কী করে? ধোঁয়া ওঠা সাদা ধবধবে ভাত দেখলে তো লোভ সামলানো বেশ মুশকিল। ভাতের ভক্ত হলে, রুটি খেয়ে অতৃপ্ত থাকা বা পেটের গোলমালে ভোগার কোনও দরকার নেই।
আরো-পড়ুনঃ যথাযথ সতর্কতা আর উপযুক্ত পদ্ধতিতে কাটা পড়া অঙ্গকেও জুড়ে দেওয়া সম্ভব!
দিনে একবার বা দু’বার খাওয়া যেতেই পারে ভাত। তবে হোল গ্রেন বা আনপলিশড চালের ভাত খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
স্বাদে সমঝোতা নয়। এখনও গাঁয়ের ভরসা ঢেঁকিই। ধুপধাপ শব্দ ক্ষীণ হতে হতে স্মৃতিতে সেঁধিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা। ঢেঁকিশালে ঢেঁকিই তো নেই। তাই মেশিনেই কাটা এবং পালিশ করা হয় চাল। স্বাদ বাড়লেও কমে যায় গুণ।
শুভ্রতার মধ্যেই রোগের আঁতুরঘর। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিন্দাস খান ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত।
আরো-পড়ুনঃ শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে প্যাকেট ফুড, হতে পারে মস্তিষ্কেরও সর্বনাশ!
গ্রেন অর্থাত্ শস্যদানার আদি রূপ হল গ্রেন। প্রসেসিং ও পলিশিংয়ের পাল্লায় পড়ে তার ওপরের উপকারী অংশটা যেন হারিয়ে না যায়। এমনটাই বলছেন ধান বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিসে ভাত বাদ নয়, বিন্দাস খাওয়া যায় ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত। পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
নদিয়ার সুশান্ত বিশ্বাসের বাড়িতে পালিশ করা চালের প্রবেশ নিষেধ। নিজেই চাষ করেন। চালের গুণাগুণ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।
ঢেঁকিতেই বানিয়ে নেন চাল।
- কবিরাজ চাল,
- কালাভাত,
- ব্রাউন রাইস,
- ব্রাউন বাঁশকাঠি,
- সবিতা,
- বাসমতী
এমনই নানা চাল ঢেঁকিতেই কেটে নেন তিনি। হাঁটু এবং কোমরের ব্যথায় ভুগতেন। ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ সুশান্ত। তাই ভাত হোক ঢেঁকিছাঁটা চালের।