নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে হিংসা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ঘটনায় সমালোচনা করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত । তাঁর মন্তব্য সুনজরে দেখছে না কংগ্রেস।
সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের মন্তব্যঃ
সিএএ-এনআরসি বিরোধী উদ্ভূত হিংসার বিরোধিতা করে এই প্রথম মুখ (tweeting) খুললেন সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত (Head of Indian Army)। চলতি মাসেই অবসর নিচ্ছেন বিপিন রাওয়াত।
তার আগে দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতরতা নিয়ে সেনা প্রধানের (Indian Army)মন্তব্যে জোর সমালোচনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, মানুষকে সঠিক পথ দেখানোই নেতৃত্বের অন্যতম দায়িত্ব।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ পড়ুয়াদের একাংশের নেতৃত্বে বিভিন্ন শহরে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নেতৃত্ব এমন হয় না।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন,”মানুষের মধ্যে নেতার অভাব নেই। কিন্তু সকলেই নেতা হয়ে উঠতে পারেন।
কারণ, নেতাকে যাঁরা অনুসরণ করছেন, তাঁদের সঠিক পথ দেখা হয়। এটা নেতৃত্ব। ভুল পথে নিয়ে গেলে সঠিক নেতৃত্ব বলা যায় না।
আমরা দেখছি প্রচুর মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
এটা মোটেই সঠিক নেতৃত্বদান নয়।”
দলনেতা অধীর চৌধুরীর মন্তব্যঃ
লোকসভায় তাদের দলনেতা অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, বিজেপি নেতাদের মতো কথাবার্তা বলছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত । সেনাপ্রধানের এহেন মন্তব্যের নিন্দা করেছেন অধীর চৌধুরী।
আরও-পড়ুনঃ CAA বিরোধিতার জের? ভিসা দিল না বাংলাদেশ সরকার
তাঁর কথায়,”নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সেনাপ্রধনের এরুপ মন্তব্য আপত্তিকর, নীতিহীন ও তাঁর সীমার বাইরে। ওনাকে বিজেপি নেতা মনে হচ্ছে।
ভারতীয় সেনার নিরপেক্ষতা ধরে রাখার দায়িত্ব পালন করুন রাওয়াত ।” দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, পুনে-সহ একাধিক জায়গায় পড়ুয়ারা সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন।
দফায় দফায় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে তাঁদের। জিমিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর পুলিস লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
আহত হন বেশ কিছু পড়ুয়া। কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর প্রদেশে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশে বার্তা দেন, উত্তরপ্রদেশে যারা হিংসা ছড়িয়েছে, তাদের বলতে চাই, ঘরে বসে আত্মসমালোচনা করুন।
তাদের আচরণ ঠিক না ভুল, তা ভেবে দেখুন। বাস ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলি সব আগামী প্রজন্মের।
আরও-পড়ুনঃ নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভ নিয়ে টুইট ভারতীয় সেনা প্রধান
এর পাশাপাশি যোগীর প্রশাসনের পাশেও কার্যত দাঁড়ান মোদী। বলেন, ”নিরাপদ পরিবেশ আমাদের আধিকার।
নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
উত্তরপ্রদেশের সমস্ত নাগরিককে বলতে চাই, স্বাধীনতার পর আমরা নিজেদের অধিকার চেয়েছি। কিন্তু এবার নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।”
আরও-পড়ুনঃ আগুন পোহাতে গিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুজনের মৃত্যু